প্রেস বিজ্ঞপ্তি :  কক্সবাজারের মহেশখালীর অসহায় জেলে শহিদুল্লাহকে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে আটকের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। সকালে কালারমারছড়ায় শত শত মানুষ মিছিল, র‌্যালী ও মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি জানায়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিরপেক্ষ তদন্ত ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন শহিদুল্লাহর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শহিদুল্লাহ একজন নিতান্ত দরিদ্র জেলে। সে কোনদিনও কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলনা। হয়তো ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। শহিদুল্লাহকে আটকের পর তার পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে করুণ দিনযাপন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পরিবার।

গত ২১ জুলাই মহেশখালীর কালারমারছড়া বাজার থেকে ষাটোর্ধ বৃদ্ধ এনামুল হককে আটক করে র‌্যাব-৭। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা র‌্যাবের কাছে আসলে এনামুল হকের বড় ছেলে শহিদুল্লাহকে আটকে রেখে এনামুল হককে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে শহিদুল্লাহসহ অপর একজনকে নিয়ে অভিযান দেখিয়ে অস্ত্রসহ মামলা দেয় র‌্যাব। র‌্যাবের অভিযানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই শহিদুল্লাহর পরিবার দাবি করেছেন, র‌্যাবকে ভুল তথ্য দিয়েই শহিদুল্লাহকে ফাঁসানো হয়েছে। এই ধরণের ভুল তথ্যে নিরপরাধ ও অসহায় শহিদুল্লাহকে ফাঁসানোর কারণে র‌্যাবের প্রতি এলাকার মানুষ আস্থা হারিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল্লাহর মা এলেমুন নাহার, পিতা এনামুল হক ও স্ত্রী আমেনা বেগমসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।